Skip to content

প্রকৃতির এক অদ্ভুত নিদর্শন – উক্রাইন এর Tunnel Of Love

ভালোবাসার সুড়ঙ্গ পথ তাও আবার কারিগর এর নাম প্রকৃতি। প্রকৃতির তুলির টান এত তাই অসাধারণ হতে পারে সেটা হয়তো না দেখলে বিশ্বাসযোগ্য নয়। এমনই এক সুড়ঙ্গ আছে উক্রাইন এ নাম ” Tunnel of love” ।

প্রকৃতির যেন গ্রীষ্ম, বর্ষা, শীত, শরৎ ও বসন্ত কে প্যালেট বাক্স থেকে নানান রং নিয়ে নিজের হাতেই সাজিয়ে দেয়। ঠিক যেন সবুজ কপাট। সর্গদ্বার এর চেয়ে কিছু কম না।

এমনই এক সবুজে মোড়া সুড়ঙ্গ পথ আছে ক্লেভন টাউন এ উক্রাইনে। সব থেকে আশ্চর্য বিষয় হলো যে এই সুড়ঙ্গ পথ কোনো মানুষ নির্মাণ করেনি, সবুজ গাছেরা একটু একটু করে বাড়তে বাড়তে এক নিঁখুত খিলান বানিয়েছে।

টানেল অফ লাভ -এ একটি ট্রেন (Дядя Саша, CC BY-SA 4.0, via Wikimedia Commons)

৫ কিলোমিটার লম্বা tunnelটির থেকে যেন এক সবুজ আলোকরশ্মির অবির্বাব হয়। ভলীন এর আদর্শ আকর্ষণ এই জায়গা।

প্রেমিক প্রেমিকরা ছাড়াও বহু মানুষ এই সৌন্দর্যের অনুভূতি নিতে যায় এই স্থানে।

এই টানেল টি প্রায় ১০ বছর আগেই সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল। ফটোগ্রাফারা সোশ্যাল এই দৃশ্য দেখে মুগ্ধ হয়েছিল।

আরেকটি তথ্য অনুযায়ী বলা হয় একজন পোলিশ ইঞ্জিনিয়ার ক্লেভন এর এক মেয়েকে ভালোবাসতো। কিন্তু তার বাস্থান অর্যেভ। তাই অর্যেভ থেকে ক্লেভন এর দূরত্ব কমানোর জন্ন্য এই রেল টানেলটি তৈরি করেছিল যাতে তাদের বহু দিন বিরহে না কাটে।

টানেল অফ লাভ (DmytroChapman, CC BY-SA 4.0, via Wikimedia Commons)

এই টানেলটি নিয়ে অনেকে অনেক ইতিহাস ও গল্পো বলেন। কেউ বলেন এই সবুজ করিডরটি বছর বছর ধরে আছে ও ক্লেভন ক্যাসেল এর রিফুজিদের পলায়নের ব্যবস্থা করে দিত।

আধুনিক এক তথ্য বলে, এই রেল টানেল টি সোভিয়েত মিলিটারী দের জন্য নির্মাণ করা হয়েছিল ও গোপনীয়তা রক্ষা করার জন্য ঘন গাছপালা এক ছদ্মবেশ এর ভূমিকা পালন করেছিল।

সময়এর সাথে সাথে মিলিটারী রা চলে গেলেও পরে সবুজ গাছ পালা আরো ঘন হয়ে এক অর্ধচন্দ্রাকার খিলান ও লম্বা এক সুড়ঙ্গ পথ এ পরিণত করেছে।

বহু জায়গার সদ্য বিবাহিতদের ফটোশুটের জন্য এই জায়গায় তালিকাভুক্ত হয়েই থাকে। এবং নতুন চারা গাছ লাগিয়েও তারা তাদের ভালোবাসা উদযাপন করেছে।

জ্যেষ্ঠ রা বলেন টানেল টি বছরের একবার গেলে সম্পর্কে গভীরতা ও প্রেম বাড়ে ও এই সুড়ঙ্গ জীবনের চলার পথে এক খুশির জোয়ার এনে দেয়।

অনেকেই মানে এই সুড়ঙ্গ পথে এ লাভ বার্ডস রা চুম্বন করলে তাদের ভালোবাসার জীবন আরো দৃঢ় হয়, আবার কেউ বলেন প্রেমিক প্রেমিকারা এই টানেল এ আলিঙ্গন করলে কেউ তাদের আলাদা করতে পারবে না।

বলা হয় একটি ট্রেন রোজ দিনে তিন বার যাতায়াত করে পাশে নিকটবর্তী একটি plywood কারখানায় কাঠ বহন করার জন্য ও সেই থেকেই সুড়ঙ্গ পথটি ট্রেনটির আকার নিয়ে নেয়।

এই টানেলটির সৌন্দর্য এত তাই আকর্ষণ করেছে বহু মানুষকে যে এই স্পট টি অনেক ডিরেক্টর বা প্রোডিউসার রা শুটিং এর জন্যও ব্যবহার করছে। কয়েকবছর আগে একটি জাপানিজ শর্ট ফিল্ম শুট করা হয়েছিল।

প্রকৃতির সৃষ্টির সত্যি অতুলনীয়। কুর্নিশ জানাই উক্রেইনের সেই সব লোকালয়ের মানুষদের যারা গাছ গুলি কে না কেটে, নিজেদের কাজে ব্যবহার না করে বাড়তে দিয়েছে।


ভ্রমণ সম্পর্কিত আরো আর্টিকেল পড়ুন