Skip to content

এই আগ্নেয়পর্বতের উপর বিরাজমান সিদ্ধিদাতা! রক্ষা করে চলেছেন ভক্তদের

এশিয়ার দক্ষিনই-পশ্চিম সীমান্তে ইন্দোনেশিয়া নামক একটি ছোট দেশ আছে। ভৌগোলিক দিক থেকে দেখতে গেলে, এই দেশটি ভারত ও প্যাসিফিক মহাসাগর এর মধ্যস্থানে অবস্থিত।

ইন্দোনেশিয়া এমন একটি দেশ যেইটির মধ্যে ১৭,০০০ এর ও বেশি দ্বীপ দেখা যায়, যার মধ্যেই অধিকাংশই সক্রিয় আগ্নেয়গিরি রয়েছে। অপূর্ব সুন্দর এই দেশের ভূদৃশ্য যা প্রতি বছর বহু পর্যটকদের দের কাছে প্রধান আকর্ষণ হয়ে ওঠে।

তিন লক্ষর মতো মানুষ ইন্দোনেশিয়াতে হিন্দু ধর্মের অধিকারী। জাভার একটি স্থানীয় সম্প্রদায় হলো তেঙ্গারেস। এই সম্প্রদায়ের মানুষজন ত্রিমুর্তি অর্থাৎ ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও মহেশ্বরের বিশ্বাসী। তাঁরা হিন্দু ধর্মের দেবদেবীর পুজো করেন।

মাউন্ট ব্রমর ইতিহাস

আগ্নেয়গিরি, মাউন্ট ব্রম, ইন্দোনেশিয়া

মাউন্ট ব্রম ইন্দোনেশিয়ার একটি সক্রিয় আগ্নেয়গিরি যা ব্রম তেঙ্গার সেমারু ন্যাশনাল পার্ক এ অবস্থিত। এছাড়াও জাভার এই পর্বতমালা অপরূপ সুন্দর সূর্যোদয়ের জন্যেও বিখ্যাত। ব্রম কথাটি এসছে এই , হিন্দু ভগবান, অর্থাৎ বিশ্বের সৃষ্টিকর্তা ব্রহ্মা নাম থেকে।

এই পর্বত টিকে ঘিরে একটি অভিভূতকারী ঘটনা জড়িয়ে আছে। মাউন্ট ব্রমর শিখর একটি গণপতিদেব এর মূর্তি আছে যার বয়স ৭০০ বছর পুরাতন।

ঠিক আগ্নেয়গিরির গর্তের মুখের ধারেই অধিষ্ঠান করছেন শ্রীগনেশ। চামারও লাং নামে একটি গ্রামে, একটি হিন্দু পরিবারের পূর্বপুরুষরা এই গনেশ মূর্তি নির্মাণ করেছিলেন।

সারাবছরই সেই মূর্তি কে আরাধনা করা হয়। এই গনেশ মূর্তি জাভার মানুষদের এই ভয়ঙ্কর আগ্নেয়গিরির প্রকোপ থেকেই রক্ষা করেন বলে মানা হয়।

আগ্নেউৎপাতের কালো পাথরের তৈরি ব্রহ্মা মন্দির

এই আগ্নেয়পর্বতের একদম সমতলে একটি হিন্দুধর্মের দেবতা ব্রহ্মার মন্দির আছে যেইটি আগ্নেউৎপাতের কালো পাথর দিয়ে তৈরি।

ভগবান গনেশ এর প্রধান উৎসব

মাউন্ট ব্রমর লাভা উৎপন্ন হলে জাভার হাজার হাজার মানুষের জীবন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হবে। এই আশঙ্কা দানা বাঁধে মানুষের মনে।

কিন্তু তাদের বিশ্বাস যে গণপতিদেব তাদের বছর বছর রক্ষা করে চলেছেন। গণেশের পূজোর প্রধান সময় ও উৎসব তারা জুলাই মাসের ১৫ দিন ধরে পালন করেন।

এই ঐতিহ্য ৫০০ বছর ধরে হয়ে আসছে যার নাম “যাদনায়া কসাদা” এবং এই ঐতিহ্য এখনো বহমান। শিব ও পার্বতীর সন্তান, শ্রী বিনায়ক সমস্ত বিগ্ন থেকে সব ভক্তগণ ও মানুষদের সর্বদা রক্ষা করেন।


ভ্রমণ সম্পর্কিত আরো আর্টিকেল পড়ুন