হিন্দু ধর্মের এক গুরুত্বপূর্ণ বাৎসরিক উৎসব হলো অম্বুবাচী। অনেকে এই উৎসবটিকে অমাবতী বলেও শুনে থাকবেন।
পৌরাণিক যুগ থেকেই হিন্দু বেদ ও শাস্ত্রে পৃথিবী কে ধরিত্রী মা হিসেবেই সম্বন্ধন করা হয়।
ধরিত্রী মায়ের ঋতুমতী হওয়া নিয়ে নানান কাহিনী কথিত আছে। আসুন জেনে নি অম্বুবাচী বা ধরিত্রী মায়ের ঋতুমতী হওয়ার কাহিনী টি।
আষার মাসের মৃগশীরা নক্ষত্রের চতুর্থ পদে ঋতুমতী হন মা ধরিত্রী।
একজন ঠিক প্রাপ্তবয়স্ক ঋতুমতী নারী যেমন সন্তান ধারণের ক্ষমতা রাখেন তেমনই এই উৎসবের পর পৃথিবী উর্বর হয়ে ওঠে ও শস্য শ্যমলা হয়ে ওঠে।
তবে এই উৎসব আসাম এর কামাখ্যা মন্দির এ বিশেষ ভাবে পালন করা হয়।
৪ দিন ধরে চলে মহা উৎসব ও অম্বুবাচীর মেলা।
তাহলে চলুন জেনে নি কামাখ্যা মন্দিরে অম্বুবাচী উৎসবের মাহাত্ম্য কি এবং কতটা…
আসাম এর কামাখ্যা মন্দির ৫১ সতী পীঠের মধ্যে একটি। এই স্থানে দেবী সতীর গর্ভ ও যো’নি পড়েছিল।
তাই কামাখ্যা মায়ের মন্দিরের দ্বার তিন দিন বন্ধ রাখা হয় ও মহা মেলার আয়োজন করা হয়। চতুর্থ দিন ভক্তদের উদ্দেশ্যে মন্দিরের দরজা খুলে দেওয়া হয়।
দেশ ও বিদেশ থেকে জনসাধারণ আসে মায়ের দর্শনে।
অনেক অঞ্চলে এই উৎসব টি “রযঃউৎসব” নামেও পরিচিত। বিশেষত বিধবা ও সাধু সন্ন্যাসী এই উৎসব পালন করে থাকেন।
এই কদিন কোনো শুভ অনুষ্ঠান, মাঙ্গলিক অনুষ্ঠান ও কৃষিকাজ স্থগিত রাখা হয়।
কথিত আছে, ঋতুরস্রাবের সময় যেমন সমাজে মেয়েদের সাধারণত অশুচি বলে মনে করা হয়, ঠিক তেমনই ধরিত্রী মাও এই সময় অশুচি থাকেন বলে মনে করেন।
আর সেই কারণে বিধবা, যোগী পুরুষ ও সন্ন্যাসীরা অশুচি পৃথিবীর উপর আগুনে রান্না করা কোনো আহার গ্রহন করেন না।
পরিবর্তে ফল মূল খেয়েই তিনদিন কাটাতে হয়।
তিন দিনের পর বিধবা মহিলারা যাঁরা এই অনুষ্ঠান এ ব্রত করে থাকেন তাঁরা স্নান করে শুদ্ধ হয়ে অম্বুবাচীর বস্ত্র, কাপড় সব পরিষ্কার করে, রোজকার এর মত দিন যাপন করতে পারে।
অম্বুবাচী চলাকালীন সমস্ত মন্দির ও ঠাকুরবাড়ির বা ঘরের সিংহাসনের কোনো মাতৃ শক্তির ছবি কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখা হয়।
২০২১ এ অম্বুবাচী অনুষ্ঠান টি ৭ আষাঢ় থেকে ১০ই আষাঢ় অবধি থাকবে।
যদিও মেয়েদের ঋতুকালীন সময় নিয়ে সমাজে অনেক সামাজিক নিসিদ্ধতা, কুসংস্কার ও অপিবত্রতার কথা চালিত আছে, এই উৎসব অতি পবিত্র ও শুভ বার্তার প্রবর্তক বলে মানা হয়।
সমস্ত লেটেস্ট খবর আপনার Telegran এ পেতে Join করুন আমাদের Telegram Group
[ Facebook এ update পেতে লাইক করুন আমাদের page ]
আরো লেটেস্ট খবর পড়ুন
- পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট (PCC)-র আবেদন কিভাবে করবেন
- WBSEDCL পোর্টালে একটি অ্যাকাউন্ট কিভাবে তৈরি (রেজিস্টার) করবেন
- PM Kisan রেজিস্ট্রেশন নম্বর অনলাইনে কীভাবে খুঁজে পাবেন
- WBSEDCL বিদ্যুৎ বিল অনলাইনে কিভাবে ডাউনলোড করবেন
- WBSEDCL পেমেন্ট রসিদ অনলাইনে কিভাবে ডাউনলোড করবেন
- পুরোনো (ম্যানুয়াল) জাতি শংসাপত্র কিভাবে ডিজিটাল করবেন জেনে নিন
- কাস্ট সার্টিফিকেট ডিজিটাইজেশন স্ট্যাটাস চেক কিভাবে করবেন 2024
- সামস্য সমাধন (জন সংযোগ) প্রকল্প পশ্চিমবঙ্গ 2024 – সমস্ত তথ্য
- স্বাস্থ্য সাথী কার্ড ব্যালেন্স চেক করার অনলাইন পদ্ধতি 2024