Skip to content

পশ্চিমবঙ্গ বার্ধক্য ভাতা ২০২৩ – স্টেটাস, আবেদন পত্র, যোগ্যতা

পশ্চিমবঙ্গ সরকার এর পক্ষ থেকে পশ্চিমবাংলার সমস্ত বরিষ্ঠ নাগরিক দের একটি মাসিক ভাতা দেওয়ার হয়ে থাকে। এই পেনশন স্কিমটি কে বলা হয় বার্ধক্য ভাতা অথবা ওল্ড এজ সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার পেনশন স্কিম।

এই পেনশন পরিকল্পনাটি সমস্ত সিনিয়র সিটিজেন এর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য যে কোন কাস্ট নির্বিশেষে।

ওল্ড এজ পেনশন স্কিম সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার পেনশন স্কিম এর একটি অংশ যা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ডিপার্টমেন্ট অফ ওম্যান, চাইল্ড ডেভেলপমেন্ট এবং সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার দ্বারা ইসু হয়।

এই ভাতাটি ছাড়াও ডিপার্টমেন্ট অফ ওমেন এন্ড চাইল্ড ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার আরো দুটি পেনশন স্কিম বার করেছে যার নাম প্রতিবন্ধী ভাতা (যাদের প্রতিদ্বন্দ্বীকতা আছে) এবং বিধবা ভাতা (বিধবাদের জন্য)।

এই আর্টিকেল এ আজকে আপনি জানতে পারবেন পশ্চিমবঙ্গের বার্ধক্য ভাতা বা ওল্ড এজ পেনশন স্কিম এর সমস্ত বিস্তারিত তথ্য।

এই আর্টিকেলটি মধ্যে থাকছে,

তাহলে চলুন এই প্রত্যেকটি পয়েন্ট বিস্তারিত ভাবে দেখে নেওয়া যাক।

বার্ধক্য ভাতা পেনশন স্কিম কি

প্রকল্পের নামবার্ধক্য ভাতা বা ওল্ড এজ পেনশন স্কিম
চালু করেছেপশ্চিমবঙ্গ সরকার
কবে চালু হয়েছে২০১০
সুবিধাপ্রতি মাসে ১০০০ টাকা ভাতা
কাদের জন্যপশ্চিমবঙ্গের বরিষ্ঠ নাগরিক দের উদ্দেশ্যে
Official Websitehttps://wbswpension.gov.in/

পশ্চিমবঙ্গ সরকার সমস্ত বরিষ্ট নাগরিকদের অর্থাৎ সিনিয়র সিটিজেনদের আর্থিক সাহায্য করবে বলে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়।

এটি একটি মাসিক পেনশন স্কিম যা সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার পেনশন স্কিম একটি অংশ। এই স্কিম ২০১০ সালে পরিকল্পিত হয়েছিল। বহু সিনিয়ার সিটিজেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের এই পরিকল্পনা দ্বারা উপকৃত হয়।

বার্ধক্য ভাতা পেনশন স্কিমে আবেদন করার যোগ্যতা

যেসব নাগরিকরা এই পেনশন ভাতা টির আবেদন করতে চান তাদের নিম্নলিখিত নির্ণায়ক গুলি পূরণ করতে হবে।

  1. নাগরিককে ৬০ বছরের উর্ধ্বে হতে হবে। নাগরিক যদি প্রতিদ্বন্দী হন শারীরিক বা মানসিক দিক থেকে তাহলে তার বয়স সীমা ৫৫ ঊর্ধ্বে হতে হবে।
  2. বেক্তির সাথে অন্য কারোর কোন সম্পর্ক থাকা যাবে না যে তার কোন রূপ খরচা চালান।
  3. বেক্তির মাসিক আয় ১০০০ টাকার বেশি হওয়া যাবে না।
  4. নাগরিক কে কম পক্ষে ১০ বছর পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা হতে হবে।
  5. নাগরিকের অন্যান্য কোন সরকারি স্কিমের আওতায় থাকা যাবেনা।

বার্ধক্য ভাতার জন্য কিভাবে আবেদন করবেন

এই স্কিম আবেদন করার জন্য আপনাকে ফর্ম – P অ্যাপ্লিকেশন ফর্ম পূরণ করতে হবে এবং তার সাথে অন্যান্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস দিয়ে জমা করতে হবে।

এই ফরমটি অ্যাড্রেস করতে হবে,

  1. আপনার জেলার ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট কে এবং ব্লক ডেভেলপমেন্ট অফিসার কে জমা দিতে হবে। অথবা আপনি আপনার পঞ্চায়েত সমিতির এক্সিকিউটিভ অফিসার কে ও জমা করতে পারেন যদি আপনার বাসস্থান কোন পঞ্চায়েত/ গ্রাম এলাকায় হয়।
  2. আপনার জেলার ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট কে এবং সাব ডিভিশনাল অফিসার কে জমা করতে হবে যদি আবেদনকারী কলকাতা মুনিসিপাল করপরেশন বাইরের কোনো মুনিসিপাল স্থানে বাস করে।
  3. কন্ট্রোলার vagrancy অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল এবং জমা করতে হবে কন্ট্রোলার vagrancy কেই, যদি আবেদনকারী কলকাতা মুনিসিপাল করপরেশন এ বাসস্থান হয়।

অ্যাপ্লিকেশন ফর্ম – বার্ধক্য ভাতা পেনশন স্কিম

বার্ধক্য ভাতার অ্যাপ্লিকেশন ফরমটি নিচে দেওয়া ঠিকানা থেকে পেতে পারবেন।

  1. ব্লক ডেভেলপমেন্ট অফিসারের অফিস থেকে অথবা আপনার পঞ্চায়েত সমিতির এক্সিকিউটিভ অফিসারের কাছ থেকে যদি আপনার বাসস্থান কোন পঞ্চায়েত বা গ্রাম্য এলাকায় হয়ে থাকে।
  2. এছাড়া আপনি এই ফরমটি সাব ডিভিশনাল অফিসার এর অফিস থেকে পাবেন যদি আপনি কলকাতা মুনিসিপাল করপরেশন এর বাইরের কোন মুনিসিপাল অঞ্চলে বাস করেন।
  3. আপনার যদি কলকাতা মুনিসিপাল করপরেশন এরিয়া তে বাসস্থান হয় তাহলে আপনাকে এই ফর্ম কন্ট্রোলার অফ vagrancy অফিস থেকে পাবেন যা অবস্থিত পশ্চিমবঙ্গের পূর্ত ভবন বিধান নগর কলকাতা 700091।

বার্ধক্য ভাতা অ্যাপ্লিকেশন ফর্ম নিচে দেওয়া বোতামে ক্লিক করে ডাউনলোড করতে পারেন।

প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস – বার্ধক্য ভাতা পেনশন স্কিম পশ্চিমবঙ্গ

এই বার্ধক্য ভাতাটির জন্য আবেদন করতে কিছু প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস লাগবে। সেগুলি হলো:

  1. আধার কার্ডের কপি যেখানে আপনার নিজস্ব একটি সই থাকবে
  2. ভোটার আইডি কার্ডের কপি
  3. রেশন কার্ডের কপি
  4. আপনার ইনকাম সার্টিফিকেটের কপি
  5. আপনার ব্যাঙ্ক পাসবুক এর একটি কপি
  6. আরেকটি নমিনেশন ফর্ম

বার্ধক্য ভাতা পেনশন স্কিমের সুযোগ সুবিধা

এই বাধ্যক্য ভাতা বা ওল্ড এজ পেনশনের সাহায্যে আপনি পশ্চিমবঙ্গের Department of Women, Child Development, and Social Welfare-এর তরফ থেকে মাসিক ১০০০ টাকার আর্থিক সহায়তা পাবেন।


আরো রাজ্য সরকারের প্রকল্প গুলি জানুন