১৮৩ ফিট তৈরি পিসার লিনিং টাওয়ার , যা ইতালী তে অবস্থান করছে ,তার সাথে প্রত্যেক টা মানুষই অবগত আছেন। এই টাওয়ার টি জনপ্রিয় কারণ এই স্তম্ভ মাটির উপর উল্লম্ব নয়, তবে এক প্রকার নত হয়ে আছে এই টাওয়ার।
এটি বারাণসী মনিকর্নিকা ঘাটে অবস্থিত। উত্তরপ্রদেশের এই মন্দিরের নাম রত্নেশ্বর মহাদেব মন্দির যার উচ্চতা ৪৩ ফিট।
মন্দিরের দৃশ্য
এই মন্দির টা ১৯০০ শতাব্দী তে নির্মাণ হয়েছিল।মন্দির টি একটি নাগরা শিখর আছে যা বছরের বহু সময় গঙ্গার জলে আবৃত থাকে।
যেহেতু মন্দির টি ঘাটের নিম্ন জায়গায় অবস্থান করে তাই গর্বগৃহও বেশিরভাগ সময় জলের তলাতেই থাকে।
সব থেকে আশ্চর্য জনক ব্যাপার এই যে,মন্দির অর্ধেক সময় জলের নিচের থাকা সত্ত্বেও মন্দির গায়ে কোনো ক্ষয় এর চিহ্ন দেখা যায়নি। মন্দিরটি ঠিক পুরাতন এর মতনই সংরক্ষণ করা আছে।
রত্নেশ্বর মন্দিরের ইতিহাস
আহল্ল্যা বাই এই নামে রত্নেশ্বর মন্দির মনিকর্নিকা ঘাটে তারকেশ্বর মন্দির এর সামনে নির্মাণ হয়েছিল ১৭৯৫ সালে। বলা হয় মহাদেব এই মন্দিরে তারকা মন্ত্র জপ করেছেন।

এই মন্দিরের নিকটে একটি গণেশ মন্দির আছে যেখানে বিষ্ণুর চরণ পাদুকা সংরক্ষণ করা আছে।
উত্তর প্রদেশের ডিস্ট্রিক্ট কালচারাল কমিটির কর্তা ডক্টর রত্নেশ্ ভার্মা বলেন ১৮৫৭ সালে কোনো এক জমিদার বাড়ির সদস্য এই মন্দির তৈরি করে।

এছাড়া জেমস প্রিন্সপ একদা অনেক স্থাপত্যের ছবি এঁকে ছিলেন ও তারই মধ্যে একটি শিল্পের কাজের অন্যতম ছিল রত্নেশ্বর মন্দির। কথিত আছে পুরোহিতরা জলের তলায় গিয়ে পূজোর করতেন।
মন্দিরের উপকথা
এই মন্দির এর একটি ঐতিহাসিক রহস্য আছে। বলা হয় ৫০০ বছর আগে রাজা মান সিংহের এক দাস এই মন্দির টি বানিয়েছিলেন। যদিও সেই ভৃত্যের নাম জানা যায়নি।
রাজা অহংকার করে বলেছিলেন যে তিনি তার মাতৃ ঋণ শোদ করেছেন, তার মা অর্থাৎ রত্না বাই এর নামে সেই মন্দির নির্মাণ করে।
কিন্তু মাতৃ ঋণ যে কখনোই শোদ করা যায়না সেটা রাজার অবচেতন এ ছিলোনা।
তাঁর মা অতি ক্রুদ্ধ হন ও তাঁরই অভিশাপে সেই মন্দির নত হয়ে পড়ে। সেই থেকেই মন্দির এর অপর নাম মাতৃরূন।
এই মন্দির এর ওপর একটা গল্প কথিত আছে, বলা হয়এই মন্দিরটি আহল্ল্যা বাই এর দাসী রত্না বাই নির্মাণ করেছিলেন। আহল্ল্যা বাই সেই মন্দির নত হওয়ার অভিশাপ দেন কারণ রত্না বাই তার নামে সেই মন্দির নামকরণ করেছিলেন।
[ আরো পড়ুন: পুরীর জগন্নাথ মোদির এর কিছু রহস্য যা শুনলে চমকে যাবেন ]
এই রত্নেশ্বর মন্দিরের এর নত হওয়ার ব্যাপারে কিছু বৈজ্ঞানিক যুক্তি টেনেছেন বহু প্রত্নতাত্ত্বিক। এই মন্দিরের কৌণিক অবনতি হলো ৯° ( যেখানে ইতালীর পিসার কৌণিক অবনতি হলো ৪°) ।
মন্দিরের এই ঝুল এর কারণ হতে পারে কিছু ত্রুটিপূর্ণ ভিত্তি অথবা জল ও মাটির মিশ্রনে মাটি নরম হয়ে যাওয়ার ফলে মন্দিরের ক্রমশ একটু একটু করে বেঁকে যাওয়া।
উত্তরপ্রদেশের এই মন্দির এর অভূতপূর্ব দৃশ্য বারাণসী ও অন্যান্য জায়গা থেকে বহু তীর্থ যাত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।
[ Facebook এ update পেতে লাইক করুন আমাদের page ]
কভার ফটো Credits : Sujay & Saffron Blaze
আরো লেটেস্ট খবর পড়ুন
- ড্রাইভিং লাইসেন্সে ঠিকানা পরিবর্তন অনলাইনে কীভাবে করবেন ২০২৩
- ড্রাইভিং লাইসেন্স রিনিউ করার অনলাইন প্রক্রিয়া 2023
- পশ্চিমবঙ্গ ভোটার তালিকা ২০২৩-এ আপনার নাম চেক করার পদ্ধতি
- পশ্চিমবঙ্গের ভোটার লিস্ট ২০২৩ (PDF) ডাউনলোড করার পদ্ধতি
- শুরু হতে চলেছে হাওড়া পুরী বন্দে ভারত এক্সপ্রেস – জেনে নিন সময়সূচি
- আধার ব্যাঙ্ক লিঙ্ক স্ট্যাটাস চেক করার অনলাইন পদ্ধতি ২০২৩