১৪ ই ফেবরুয়ারি জঙ্গি আক্রমণে রক্তে লাল হয়ে উঠেছিল পুলওয়ামা উপত্যকা। পাকিস্তানি আত্মঘাতী জঙ্গি হামলায় শহীদ হয়েছিলেন চল্লিশেরও বেশি ভারতীয় সিআরপিএফ জাওয়ান।
এরপর থেকেই প্রতিহিংসার বীজ বপন হয় প্রতি ভারতীয়র মনে।
পুলওয়ামা আক্রমণের ঠিক বারো দিনের মাথায় বোমারু বিমান মিরাজ ২০০০ নিয়ে পাকিস্তানের বালাকোটের সমস্ত জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করে দেয় ভারতীয় বায়ুসেনা।
এরপরেও উচিৎ শিক্ষা হয়নি পাকিস্তানের। ঠিক তার পরদিনই ভারতের ওপর আকাশপথে হামলা চালানোর চেষ্টা করে পাকিস্তান।
সমুচিত জবাব দেয় ভারতও। ধাওয়া করে পাকিস্তানের এফ-১৬ যুদ্ধবিমান গুলি করে নামায় ভারতীয় বায়ুসেনা। কিন্তু তারমধ্যেই রাজনৈতিক সীমা লঙ্ঘন করে পাকিস্তানে ঢুকে পরেন উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমান।
রাজনৈতিক সীমা লঙ্ঘন করায় অভিনন্দনকে যুদ্ধবন্দী বানায় পাকিস্তান। এরপরেই দেশে শুরু হয় রাজনৈতিক দামালতা।
ভারতের প্রতি আক্রমণের পর শিহরিত হয়ে উঠেছিলেন পাক সেনাপ্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়ার। শুধুমাত্র পাক সেনাপ্রধানই নয়, পাক বিদেশমন্ত্রীর অবস্থাও ছিল তথৈবচ।
কূটনৈতিক চাপের মুখে পড়ে অভিনন্দনকে মুক্তি দেয় পাকিস্তান। বুধবার, পাক সংসদে দাঁড়িয়ে এমন বিস্ফোরক তথ্য সামনে এনেছেন স্বয়ং পাকিস্তান মুসলিম লীগের নেতা সর্দার আয়াজ সাদিক।
তিনি আরো জানান, অভিনন্দনকে আটকের পর জরুরি বৈঠক ডাকা হয়। বৈঠকে পাক সেনাপ্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়ার, বিদেশমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি সহ অনেকেই উপস্থিত থাকলেও উপস্থিত ছিলেন না প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
বৈঠকে ঠিক করা হয়, রাত ৯ টার মধ্যে অভিনন্দনকে মুক্তি না দিলে পাল্টা আক্রমণ করতে পারে ভারত। তাই ভয়ের মুখে পাক সরকার মুক্তি দেয় অভিনন্দনকে।
এদিন, পাক সংসদে দাঁড়িয়ে মুসলিম লীগের ওই নেতা জানান, অভিনন্দন এবং কাশ্মীর প্রসঙ্গে বিরোধীরা সরকারের পক্ষ নিলেও এখন তা আর সম্ভব নয়।
এর ফলে, স্বভাবতই চাপের মুখে পড়েছেন ইমরান খানের সরকার।
[ Facebook এ update পেতে লাইক করুন আমাদের page ]
আরো লেটেস্ট খবর পড়ুন