বাংলা সিনেমা জগতে নক্ষত্রপতন। পৃথিবীকে বিদায় জানিয়ে ঘুমের দেশে পাড়ি দিলেন কিংবদন্তি সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। আজ সকালেই, দেহাবসান হয় তাঁর।
তাঁর এই চলে যাওয়া বাংলা চলচ্চিত্র জগতের এক অভাবনীয় ক্ষতি।
গত ৬ ই অক্টোবর থেকে করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। দীর্ঘদিন, হাসপাতাল থেকে অসীম লড়াই চালালেও তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে গতকাল থেকে চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছিলেন না তিনি।
আজ দুপুর ১২ টা ১৫ নাগাদ বেলভিউ হাসপাতালে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
দীর্ঘ ছয় দশকের উজ্জ্বল ‘অভিযান’ এর সমাপ্তিতে শোকোস্তব্ধ গোটা টলিউড। পরিচালক, অভিনেতা, অভিনেত্রীরা শোক জ্ঞাপন করেছেন এই মহান অভিনেতার প্রয়াণে। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর।
বাংলা চলচ্চিত্র জগতে তাঁর অবদান লিখতে বসলে উপন্যাসও হার মানতে বাধ্য। সত্যজিৎ রায়ের ‘অপুর সংসার’ দিয়ে তাঁর অভিনয়জীবন শুরু।
নাট্যশিল্পী হিসেবেও তাঁর দেশজোড়া কদর। তাঁর কর্মজীবন শুরু আকাশবাণীতে, ঘোষক হিসেবে। তাঁর আবৃত্তি মন কেড়েছে আপামর বাঙালির।
আবৃত্তির পাশাপাশি কবিতা রচনাও করেছেন তিনি। করেছেন পত্রিকা সম্পাদনার কাজ। তাঁর প্রয়াণে গোটা বাংলা আজ শোকাহত। তাঁর আত্মার শান্তিকামনা করেছে গোটা বাংলা।
“মৃত্যুর সঙ্গে তিনপাত্তি” খেলাটা বোধহয় অধরাই রয়ে গেল কিংবদন্তির। হীরক রাজার পতন হলেও উদয়ন পণ্ডিত থেকে যাবেন বাঙালির মনে আজীবন।