কাঠফাটা গরমে, ঘর্মাক্ত শরীরে, ট্রাফিক জ্যামে আটকে থাকা মনটা উসখুস করছে মহানগরীর কোলাহল থেকে কিছুদিনের জন্য নিষ্কৃতি পেতে?
উপরন্তু, হাতে পড়ে আছে গরমের ছুটি? তাহলে আর অপেক্ষা কিসের? গ্রীষ্মের চোখ-রাঙানিকে উপেক্ষা করেই আর কর্মব্যস্ত জীবনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বেড়িয়ে পড়ুন ছুটি কাটাতে।
আপনাদের জন্য রইল এই গ্রীষ্মের ছুটিতে কলকাতার কাছাকাছি ঘুরতে যাওয়ার পাঁচটি সেরা জায়গার তালিকা।
চলুন এই জায়গা গুলো একটু বিস্তারিত ভাবে দেখা যাক…
১. মন্দারমনি
বাঙালি মানেই দীঘা-পুরীর সঙ্গে এক অন্তরঙ্গ সম্পর্ক। যদি আপনি এই সম্পর্কের সমীকরণে খানিক বদল আনতে চান, তাহলে মন্দারমনি আপনার জন্য প্রকৃত গন্তব্যস্থল।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং এখানকার নিস্তব্ধতা আপনার মনকে উৎফুল্ল করবেই, উপরন্তু বালুতটে বসে একান্তে অথবা প্রিয়জনের সঙ্গে সমুদ্র উপভোগ এক অকল্পনীয় ব্যাপার।
বিলাসবহুল হোটেলের অভাব পড়বে না এখানে। অতএব, সপ্তাহান্তে পরিবার অথবা বন্ধুদের সাথে ছুটি কাটানোর এক উল্লেখযোগ্য স্থান হয়ে উঠেছে এই মন্দারমনি।
২. কার্শিয়াং
গরমের ছুটিতে পাহাড়ের হাতছানি উপেক্ষা করা এক দুরূহ ব্যাপার। তার ওপরে যদি সেটা কার্শিয়াং এর মতো জায়গা হয়, তাহলে তো বলার অপেক্ষাই রাখে না।
রাশি রাশি অর্কিডের সৌন্দর্য আপনার হৃদয়হরণ করবেই। সবান্ধব অথবা সপরিবার ঘুরে আসতে পারেন কার্শিয়াং। এখানে আপনি উপভোগ করতে পারেন ট্রেকিং, ওয়াটার র্যাফটিং এর মতো আকর্ষণীয় রোমহর্ষক জিনিস।
এই পাহাড়ি এলাকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং স্নিগ্ধতা আপনাকে ক্লেশমুক্ত করতে বাধ্য।
৩. দার্জিলিং
বাঙালির কাছে দার্জিলিং এবং গরমের ছুটির সম্পর্কটা অনেকটা রবিবারের আলস্য ভরা দুপুরে ধোঁয়া ওঠা গরম ভাত এবং মাংসের মতো।
অঞ্জন দত্তের গানকে সঙ্গী করে নিরুদ্দেশ হয়ে যান পাহাড়ি রাস্তায়। সারি সারি চা বাগান, টাইগার হিলে সূর্যদয় দর্শন, রাস্তার পাশ দিয়ে ধোঁয়া উড়িয়ে টয়ট্রেনের ছুটে চলা আপনাকে মুগ্ধ করতে বাধ্য।
তাই অপেক্ষা না করেই পাহাড়ের হাতছানিতে গা ভাসিয়ে গরমের ছুটিতে রওনা দিতে পারেন দার্জিলিং এর উদ্দেশ্যে।
৪. মৌসুনী দ্বীপ
অজপাড়াগাঁয়ে দ্বীপের একেবারে প্রান্ত ভূমিতে লুকিয়ে আছে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য।
এতদিন অজান্তে থাকলেও, এখন রাজ্যের পর্যটন মানচিত্রে নতুন এক বেড়ানোর জায়গার নাম হয়েছে মৌসুনি দ্বীপ। সমুদ্র সৈকত ঘেঁষে অ্যাডভেঞ্চার প্রিয় মানুষদের জন্য ফেলা রয়েছে রাশ রাশ তাঁবু।
যদি আপনি শহরের কোলাহল থেকে মুক্তি চান, নিরিবিলিতে একান্তে সময় কাটানোর জন্য এই স্থান একদম আদর্শ। খোলা আকাশের নিচে নিশিযাপন, সঙ্গে সমুদ্রের মর্মর ধ্বনি আপনার প্রাণ জুড়িয়ে দেবে।
চিনাই নদীর ধারে অবস্থিত এই দ্বীপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, লাল কাঁকড়ার সমাহার এবং নানাবিধ পাখির বহরের জন্য পর্যটকদের আকৃষ্ট করে।
৫. ঋষিখোলা
সিকিম সীমান্তে অবস্থিত ছোট্ট একটি গ্রাম ঋষিখোলা। গ্রীষ্মের তাপদাহ থেকে বাঁচতে অথবা কর্মব্যস্ত জীবনকে খানিক শান্তি দিয়ে ঘুরে আসতে পারেন এই জায়গা।
পাহাড়, নদী এবং জঙ্গলে ঘেরা জনমানবহীন এই জায়গা শিহরণ জাগাতে বাধ্য। নদীর ঠিক ধারেই পাহাড়ের কোলে রয়েছ ছিমছাম রিসর্ট।
রাতে পাহাড়ি নদীর কুলকুল শব্দ আর সকালে নাম না জানা পাখির কলতান এক অপরূপ মায়াবী পরিবেশের সৃষ্টি করে, যা আপনাকে মনোমুগ্ধ করতে বাধ্য।
কুয়াশা ঘেরা পাহাড়ের কোলে সকালের মিঠে রোদ উপভোগের আমেজটাই অনবদ্য।
৬. মিরিক
যদি আপনি পাহাড়প্রেমী হন, তাহলে নিঃসন্দেহে মিরিক আপনাকে আকর্ষণ করবেই। মনোমুগ্ধকর পরিবেশ, অপরূপ পাহাড় সারির সৌন্দর্য, চা বাগানের নিস্তব্ধতা আপনাকে এক স্বর্গীয় অনুভুতি দেবে।
এখানকার বহুচর্চিত বৌদ্ধমন্দির বোকার গুম্ফা মিরিকের এক প্রধান আকর্ষণ। তা ছাড়াও রয়েছে মনোমুগ্ধকর সুমেন্দু লেক এবং অর্কিড এবং চায়ের বাগান।
কুয়াশা মাখা ভোরে গরম চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে পাহাড়ের কোলে সূর্যদয় দর্শন আর তার সাথে নাম না জানা পাখির কলতান আপনাকে এক সম্পূর্ণ অন্য জগতে নিয়ে যাবে, যে জগতে নেই শহরের ব্যস্ততা, নেই কোলাহল, যে জগতে মৃদুমন্দ গতিতে আলস্যের সঙ্গে বহমান হয় জীবন।
তাহলে আর অপেক্ষা কিসের? গরমের ছুটিকে হাতিয়ার করে সপরিবার অথবা বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে ঘুরে আসতে পারেন কলকাতার কাছাকাছি মন ভালো করা এই কয়েকটি জায়গায়।
[ Facebook এ update পেতে লাইক করুন আমাদের page ]
আরো লেটেস্ট খবর পড়ুন
- পশ্চিমবঙ্গে EWS সার্টিফিকেট কিভাবে ডাউনলোড করবেন (৩ ধাপে)
- পশ্চিমবঙ্গে EWS শংসাপত্রের স্ট্যাটাস চেক কীভাবে করবেন জেনে নিন
- পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট (PCC)-র আবেদন কিভাবে করবেন
- WBSEDCL পোর্টালে একটি অ্যাকাউন্ট কিভাবে তৈরি (রেজিস্টার) করবেন
- PM Kisan রেজিস্ট্রেশন নম্বর অনলাইনে কীভাবে খুঁজে পাবেন
- WBSEDCL বিদ্যুৎ বিল অনলাইনে কিভাবে ডাউনলোড করবেন
- WBSEDCL পেমেন্ট রসিদ অনলাইনে কিভাবে ডাউনলোড করবেন
- পুরোনো (ম্যানুয়াল) জাতি শংসাপত্র কিভাবে ডিজিটাল করবেন জেনে নিন
- কাস্ট সার্টিফিকেট ডিজিটাইজেশন স্ট্যাটাস চেক কিভাবে করবেন 2024