পৌরাণিক কথা ও প্রথা অনুযায়ী, যেকোনো দেবদেবীর পুজোর আগে, শ্রী গনেশ কে আরাধনা করা হয়। শাস্ত্র অনুযায়ী ভগবান গনেশ ভাদ্র মাসে শুক্ল চতুর্দশীতে মাতা পার্বতী ও পিতা মহাদেবের কাছে জন্ম গ্রহন করেন। প্রতিবছর এই বিশেষ দিনটিকে গনেশ চতুর্থী বা বিনায়ক চতুর্থীও বলা হয়।
গনেশ পুজোর সময়
২০২০ সালে ২২ এ আগস্ট অর্থাৎ শনিবার দিন শুভ গনেশ চতুর্থীর তিথি পড়েছে। পুজোর শুভ মুহূর্ত শুরু হবে ১১:০৬ মিনিট থেকে ও সমাপ্ত হবে ১টা বেজে ৪২ মিনিটে। অতএব পূজোর কূলসময় ২ ঘন্টা ২৬ মিনিট থাকবে। চতুর্থী তিথি শুরু হবে ২১ আগস্ট ১১:০২ মিনিটে ও শেষ হবে পরের দিন বিকেল ৭:৫৭ নাগাদ।
পুজো স্থাপনা ও বিধি
শাস্ত্রীয় তথ্য অনুযায়ী গণপতি দেবের জন্ম দুপুর বেলায় হয়। তাই জন্যেই শ্রী গনেশ পুজো দুপুরে করলে শুভ ফলদায়ক হয়।
চতুর্থীর দিন দ্বিপ্রহরে একটি চৌকির উপর লাল বস্ত্র রেখে তার উপর গণপতির ছবি ও বিগ্রহ রেখে, গঙ্গা জল ছিটিয়ে শুদ্ধ করে নিতে হবে। তারপর গণেশের মন্ত্র উচ্চারণ করে, তাঁকে তার প্রিয় মোদক ও ২১ টি দূর্বা ঘাস অর্পণ করতে হবে।
দূর্বা ঘাস প্রদান করার সময় “ওম গানাধিপতায় নমঃ” উচ্চারণ করতে হবে। এবং পুজোবিধি সমপন্ন হলে সবার মধ্যে তার মোদক প্রসাদ বিলি করে দিলে, তাতে গণপতি দেব কৃপা বর্ষণ করবেন।
গনেশ পূজোর মাহাত্ম্য
গনেশ চতুর্থীর দিন গৃহে গণপতির প্রবেশ করিয়ে নিষ্ঠা ভরে ১০দিন তার পূজা অর্চনা করলে ও পয়লা সেপ্টেম্বর নিয়ম মতো তার বিসর্জন করলে তিনি তার ভক্তদের সব সমস্যা ও বিগ্ন নাশ করেন ও আশীর্বাদও প্রদান করেন। তাই তার অপর নাম বিঘ্ননাশক বলেও ডাকা হয়। নিষ্ঠা ও ভক্তি সহ শ্রী গণেশের পুজো করলে বাড়ির ও বাড়ির সদস্যের সুখ, সমৃদ্ধি ও আনন্দ বৃদ্ধি হবে।
[ Facebook এ update পেতে লাইক করুন আমাদের page ]
আরো লেটেস্ট খবর পড়ুন
- কল্পতরু মেলা (দুর্গাপুর) ২০২৪ – তারিখ, সময় এবং ইতিহাস
- শুরু হতে চলেছে হাওড়া পুরী বন্দে ভারত এক্সপ্রেস – জেনে নিন সময়সূচি
- দুর্গাপুর থেকে জয়পুর ও পাটনা ফ্লাইট পরিষেবা শুরু হচ্ছে মে মাসেই
- দুর্গাপুর স্টিল টাউনশিপের বিদ্যুৎ সরবরাহ আংশিকভাবে বন্ধ থাকার বিজ্ঞপ্তি
- সিউড়ি-অন্ডাল-শিয়ালদহ রুটে নতুন ট্রেন চালু হচ্ছে ১ আগস্ট থেকে
- দুর্গাপুরে নতুন ইন্টারনেট এক্সচেঞ্জ পয়েন্টের (IXP) চালু করা হলো