এই বিশাল সৌরজগতে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের বাইরে ঘুরে বেড়াচ্ছে ধূমকেতু নিওওয়াইজ।
পৃথিবীর দিকে দুরন্ত গতিতে ধেয়ে আসছে এটি।
আসলে কি এই ধূমকেতু?
সৌরজগতে ঘনীভূত কার্বন ডইঅক্সাইড, মিথেন এবং বরফের সংমিশ্রণে তৈরি বিশাল চাঙ্গড় ভেসে বেড়ায়।
এই বিশালাকার চাঙ্গড়গুলির ব্যাসার্ধ হতে পারে প্রায় ৫ থেকে ৬ কিলোমিটার পর্যন্ত।
মাঝে মাঝে সূর্যের আকর্ষণে এই বিশালাকার চাঙ্গড়গুলি উপবৃত্তাকার পথে সূর্যকে কেন্দ্রীয় করে আবর্তন করতে থাকে।
ঠিক এই সময়ই সূর্যের তাপে ঘনীভূত বরফ গলে তা বাষ্পীভূত হয় এবং তৈরি করে ঝাঁটার মতো লম্বা লেজ, যার বিস্তৃতি হতে পারে কোটি কোটি কিলোমিটার পর্যন্ত।
এরকমই একটি ধূমকেতু সি/২০২০ এফও৩ তীব্র গতিবেগে ধেয়ে আসছে পৃথিবীর দিকে।
[আরো পড়ুন: কোনো নথি ছাড়াই পাওয়া যাবে অধার কার্ড, জানালো UIDAI]
ধূমকেতুর পোশাকি নাম নিওওয়াইজ। সাধারণত এই ধরনের দৃশ্য দেখার জন্য প্রয়োজন পড়ে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন টেলিস্কোপের।
তবে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন যে, খালি চোখেই দেখা যাবে এই দৃশ্য।
কাল থেকে সূর্যাস্তের পর টানা ২০ দিন ধরে, ২০ মিনিট ধরে দেখা যাবে এই বিরল মহাজাগতিক দৃশ্য।
প্রতিদিন এটি দেখা যাবে উত্তর – পশ্চিম আকাশে।
বিড়লা তারামন্ডলের অধিকর্তা দেবীপ্রসাদ দুয়ারী জানিয়েছেন, গত ২৭ মার্চ ধূমকেতুটি আবিষ্কার হয়েছিল।
এটি সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে পৃথিবীর দিকে দ্রুতগতিতে এগিয়ে আসছে।
নিওওয়াইস পৃথিবীর সবচেয়ে কাছাকাছি আসবে আগামী ২২ জুলাই।
সেদিন ভূপৃষ্ঠ থেকে এর দূরত্ব হবে ১০ কোটি ৩৫ লক্ষ কিলোমিটার।
সূর্যাস্তের পর উত্তর-পশ্চিম দিগন্তের ১০-১৫ ডিগ্রি ওপরে দৃশ্যমান হবে।
এর আগে ১৯৯৭ সালে হেলবোপ ধূমকেতু পশ্চিমবঙ্গ ও কলকাতার আশপাশ থেকে দেখা গিয়েছিল।
এরপরেও কিছু ধূমকেতু এসেছে। তবে দূরবীন ছাড়া সেগুলি দেখা সম্ভব হয়নি।
নিওওয়াইসকে কিন্তু খালি চোখেই দেখা যাবে।
সমস্ত লেটেস্ট খবর আপনার Telegran এ পেতে Join করুন আমাদের Telegram Group
[ Facebook এ update পেতে লাইক করুন আমাদের page ]
আরো লেটেস্ট খবর পড়ুন
- ময়ূরাক্ষী এক্সপ্রেসের রুটে বড়ো বদল – দেখুন সময়সূচি
- অনলাইন দলিল নম্বর অনুসন্ধান করার সমস্ত পদ্ধতি পশ্চিমবঙ্গ ২০২২
- ৫টি অসাধারণ হিন্দু মন্দির যা ভারতের বাইরে অবস্থিত
- Happy Holi Wishes in Bengali | দোলযাত্রার শুভেচ্ছা বার্তা
- দুর্গাপুর থেকে গুয়াহাটির ফ্লাইট পরিষেবা শুরু হচ্ছে মার্চ মাসেই
- পশ্চিমবঙ্গ জন্ম শংসাপত্রের অনলাইন আবেদন ২০২২ (নতুন পদ্ধতি)